ঈদের উৎসব কি ভাবে পালন করবো? এই সম্পর্কে হাদিস কি বলে। - Bibaran

Latest

ইসলামিক পেইজ

Wednesday, May 20, 2020

ঈদের উৎসব কি ভাবে পালন করবো? এই সম্পর্কে হাদিস কি বলে।

ঈদের দিন ভোরবেলা ফজর নামাজ জামাতের  সাথে আদায় করে দিনটি শুরু করতে হবে  হযরত আবু হুরাায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত    হজরত মুহাম্মদ (সা.)   বলেছেন, যদি তারা ইশা ও ফজর নামাজের মধ্যে কী  আছে তা জানতে পারতো- তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এ দুই নামাজের জামাতে শামিল হতো। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম


ঈদের নামাজের পূর্বে খাবার গ্রহণ
ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদের নামাজ আদায়ের পূর্বে খাবার গ্রহণ করা এবং ঈদুল আজহার দিন ঈদের নামাজের পূর্বে কিছু না খেয়ে নামাজ আদায়ের পর কোরবানির গোশত খাওয়া সুন্নত। হজরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের নামাজের পূর্বে খেতেন না। নামাজ থেকে ফিরে এসে কোরবানির গোশত খেতেন। -আহমদ

ঈদের নামাজের মাছালা
মাছালা= ঈদের নামাজে আজান ও একামত নেই। হজরত জাবের ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে একবার নয় দুই বার নয়; একাধিক বার ঈদের নামাজ পড়েছি তাতে আজান ও একামত ছিল না।’ -সহিহ মুসলিম: ১৪৭০
ঈদ হলো মুসমাদের জন্য একটা আনন্দের দিন যা বছরে দুই বার আসে।

ঈদ মানে আনন্দ একজনের সাথে আরেক জনের সাক্ষাৎ করা যেমন কত বন্ধু বান্ধব বাহিরে থাকে। ঈদের সামনে সবাই বাড়িতে আসে তাদের সাথে সাক্ষাৎ হবে । এক সাথে নামাজ পড়তে যাবে।   

মাছালা: সর্বপ্রথম ইদের নামাজ হবে তারপর খুতবা। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন ঈদের মাঠে গিয়ে সর্বপ্রথম নামাজ আদায় করতেন তারপর জনগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে ওয়াজ করতেন, কোনো উপদেশ থাকলে উপদেশ দিতেন বা কোনো নির্দেশ থাকলে নির্দেশ দিতেন। আর জনগণ নামাযের কাতারে বসে থাকতেন। কোথাও কোনো বাহিনী প্রেরণের ইচ্ছা থাকলে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেন অথবা অন্যকোনো নির্দেশ জারির ইচ্ছা করলে তা জারি করতেন। -সহিহ বোখারি: ৯০৩

মাসয়ালা: ঈদের নামাজ দুই রাকাত। -সহিহ বোখারি: ১৩৪১
মাসয়ালা: ঈদের নামাজের কেরাত সম্পর্কে প্রখ্যাত সাহাবি নুমান ইবনে বশির (রা.) হতে বর্ণিত এক হাদিসে দেখা যায়, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) দুই ঈদ ও জুমার নামাজের প্রথম রাকাতে ‘সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা’ এবং দ্বিতীয় রাকাতে ‘হাল আতাকা হাদিসুল গাশিয়াহ’ পাঠ করতেন। সুনানে নাসাঈ: ১৫৫০


অন্য হাদিসে ‘সূরা ক্বাফ এবং সূরা ইক্বতারাবতিস সাআহ’ পড়ার কথাও পাওয়া যায়। সুনানে নাসাঈ: ১৫৪৯
মাসয়ালা: ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ৬টি তাকবির বলা হয়। হিজরি প্রথম সনে এর প্রচলন শুরু হয়েছে। ঈদের নামাজে ৬টি তাকবিরের কারন বয়ান করতে গিয়ে আহকামুল ইসলাম কিতাবে লেখা হয়েছে।‘ঈদের দিন মানুষ খুব ভালো  ও খুব সুন্দর কাপড় পরিধান করে

মনে অনেক আনন্দের  সঙ্গে মানুষের মাঝে চলাফেরা করবে। এর পাশা পাশি আল্লাহ তায়ালার প্রশংসাজ্ঞাপক বাক্য তথা সানা ও তাছবিহ আদায় করে চলবে । অতএব প্রতিবার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাকবির বলা দ্বারা একথা বুঝানো হচ্ছে যে, আমাদের মতো মানুষের জাঁকজমকের চেয়ে আল্লাহ তায়ালার জাঁকজমক ও ইজ্জত অনেক বড়। সুতরাং ৬টি অতিরিক্ত তাকবির দ্বারা এদিকে ইশারা করা হয়েছে। মাসায়েলে ঈদাইন= ২৬ ও আহকামে ইসলাম: ১৬৩

ঈদ মানে আপন মানুষের সাথে কিছু সময় কাটানো এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো কিছু খাবার খাও।    

1 comment:

Featured Post

বিশ্বের টুকিটাকি জানা-অজানা সাধারণ জ্ঞান

#বিশ্বের #টুকিটাকি #জানা-অজানা #সাধারণ জ্ঞান প্ৰঃ আল্লাহ পাক কোন দিন কোন বস্তু সৃষ্টি করেছেন? উঃ (১) শনিবার মাটি সৃষ্টি করেছেন। জ্বীন ...