আগে বিয়ে না আগে ইনকাম করতে হবে ৷ আল্লাহ তায়ালা কি বলেন(সুরা নূর) - Bibaran

Latest

ইসলামিক পেইজ

Thursday, July 1, 2021

আগে বিয়ে না আগে ইনকাম করতে হবে ৷ আল্লাহ তায়ালা কি বলেন(সুরা নূর)

সূরা আন নূর; আয়াত ৩২-৩৪ (পর্ব-৭) সুরা নূরের ৩২নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ (32) “তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত (নরনারী) তাদের বিয়ে দিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্ম-পরায়ন তাদেরও (বিয়ে দাও)। (দারিদ্রকে ভয় পেও না) তারা যদি নিঃস্ব হয়,তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” (২৪:৩২)
আগের কয়েকটি আয়াতে আল্লাহতায়ালা পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য মুমিন নারী-পুরুষকে দৃষ্টি সংযত রাখতে বলেছেন। আর এ আয়াতে তিনি বিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন। উপযুক্ত বয়সে নারী-পুরুষকে বিয়ে দিলে সমাজ যে ব্যাভিচারের অপবিত্রতা থেকে মুক্ত থাকে সেদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে এ আয়াতে। মানুষের মধ্যে প্রকৃতিগতভাবে আল্লাহ যে ইন্দ্রিয় চাহিদা দিয়েছেন তা বিয়ের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। খ্রিস্টান ধর্মে ইন্দ্রিয় চাহিদাকে শয়তানের কুমন্ত্রণা বলে অভিহিত করা হয় এবং বিয়ে করাকে অপছন্দীয় হিসেবে দেখা হয়। এ কারণে খ্রিস্টান পাদ্রীরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন না। কিন্তু ইসলামে বিয়ে করাকে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বিয়ে করার পথে দারিদ্রকে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করা হয় বলে মহান আল্লাহ এ আয়াতে সে সমস্যার সমাধান বাতলে দিয়েছেন। তিনি পিতা-মাতাকে নির্দেশ দিয়েছেন: যখন তোমাদের সন্তানরা বিয়ের উপযুক্ত বয়সে পৌঁছে যায় তখন তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দাও। দাম্পত্য জীবনের শুরুতে তাদের অসচ্ছলতাকে ভয় পেয়ো না। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। পাশাপাশি পরিবারে যদি কোনো কাজের মানুষ থাকে- সে নারী হোক কিংবা পুরুষ- তার শারীরিক চাহিদার প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য আল্লাহ পরিবারের কর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি যেন তারা অধিকারভুক্ত দাস- দাসী ও কাজের লোকদের বিয়ে দিয়ে দেন। এ আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো: ১. ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে সমাজের অন্যায়-অপকর্ম দূর করার জন্য যুবক-যুবতীদের বিয়ের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। ২. ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে একটি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুরা নূরের ৩৩ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন: وَلْيَسْتَعْفِفِ الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّى يُغْنِيَهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَالَّذِينَ يَبْتَغُونَ الْكِتَابَ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا وَآَتُوهُمْ مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي آَتَاكُمْ وَلَا تُكْرِهُوا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاءِ إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِتَبْتَغُوا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَنْ يُكْرِهُّنَّ فَإِنَّ اللَّهَ مِنْ بَعْدِ إِكْرَاهِهِنَّ غَفُورٌ رَحِيمٌ (33) “যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই, আল্লাহ তাদের নিজ অনুগ্রহ অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের মধ্যে কেউ তার মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চাইলে তাদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হও, যদি তোমরা জানো যে, ওদের মুক্তিদানে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদের যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে ওদের দান করবে। তোমাদের দাসিরা সততা রক্ষা করতে চাইলে পার্থিব জীবনের ধন লালসায় তাদের ব্যাভিচারিণী হতে বাধ্য করো না। তবে কেউ যদি তাদের (ওই নোংরা জীবনে) বাধ্য করে, তবে তাদের বাধ্য হওয়ার পর (নিরুপায় অবস্থায়) নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (২৪:৩৩) আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় আল্লাহতায়ালা এখানে বলছেন: যদি চেষ্টা করে কেউ বিয়ে করার সামর্থ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে যেন গোনাহ করার কথা চিন্তাও না করে। কারণ যে আল্লাহ মানুষকে শারীরিক চাহিদা দিয়েছেন তিনিই এ চাহিদা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও তাকে দান করেছেন।

No comments:

Post a Comment

Featured Post

বিশ্বের টুকিটাকি জানা-অজানা সাধারণ জ্ঞান

#বিশ্বের #টুকিটাকি #জানা-অজানা #সাধারণ জ্ঞান প্ৰঃ আল্লাহ পাক কোন দিন কোন বস্তু সৃষ্টি করেছেন? উঃ (১) শনিবার মাটি সৃষ্টি করেছেন। জ্বীন ...