বাড়ছে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জে ২৫ হাজার পরিবার পানিতে বন্দি।
পানি বৃদ্ধির কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পানিবন্দি মানুষ বিভিন্ন বাঁধের ওপর অশ্রয় নিচ্ছে। তারা গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে বিপাকে। কষ্টের বানে ভাসছে পানিবন্দি মানুষ। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (১ জুলাই) যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর উপজেলায় ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই মহামারী করুণার মধ্যে এখনো আল্লাহতালা জানিনা কোন দুর্ঘটনা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জে ১৪ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরে ৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরে যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বন্যায় সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ৩১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা পানিবন্দি হয়েছে। ২১৬টি গ্রামের ২৪ হাজার ৯২৪টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ২৮০টি ঘরবাড়ি আংশিক, ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তা ও বাঁধ এবং প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ১২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আমরা মুসলমান এখন অন্ধকার পথে আছি ফিরে আসছে না কেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নদীবেষ্টিত জেলার সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় দুই ৫২০ হেক্টর জমির পাট ও তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি না কমলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে
No comments:
Post a Comment