ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেম কি হারাম? - Bibaran

Latest

ইসলামিক পেইজ

Thursday, January 21, 2021

ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেম কি হারাম?

ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেম কি হারাম?



 আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ 

Free fair ও pubg বর্তমান সময়ের সবচেয়ে পপুলার দুটি অনলাইন ভিডিও গেম। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের সকল বয়সের মানুষ নিয়মিত এই গেমস খেলে।আজকে আমি ইসলামিক এবং বাস্তবিক দৃষ্টিকোন থেকে দুটি গেমস কে তোলে ধরার চেষ্টা করব।ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেমস খেলা কি ইসলাম এ জায়েজ আছে ? ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেমস খেলা কি হারাম ? আর আমরা কিকরতাছি৷ এ দুটি প্রশ্নের উওর ও বাস্তবিক দিক থেকে এসব গেমস খেলা কতটা যুক্তিপুর্ন তা তুলে ধরার চেষ্টা করব। 

আমাদের পোষ্ট ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেমস কি উদ্দেষ্য করে হলেও এটা সকল ভিডিও গেমস এর ক্ষেত্রে সমান। আপনি ভিডিও গেমস খেলতে পারবেন কিনা তার উওর ত্রখানে পেয়ে যাকেন। 

ত্রকটা সময় ছিল যখন প্রযুক্তি আজকের মত উন্নত ছিল না।যখন নতুন ভিডি্ও গেমস আসে তখণ তা আজকের মত এত উন্নত ছিল না।তখন গেমস ছিল গাড়ি গেমস, মটর সাইকেল গেমস ইত্যাদি। এসব গেমস গুলো তে মানুষ ছিল না, বেহায়াপন ছিল না, গান বাজনা ছিল না। কিন্তু প্রযুক্তি উন্নত হ্ওয়ার সাথে সাথে এসব ভিডিও গেমস অনেক উন্নত হয়েছে।যদি ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেমস গেমস এর তথ্য তুলে ধরি। 

ফ্রী ফায়ার ও পাবজি কত সালে প্যোকাশ পাই৷

ফ্রী ফায়ার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে প্রথম মুক্তি পায়।পাবজি  ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ তে প্রথম মুক্তি পায় । কিন্তু মোবাইল ভার্সর এ মুক্তি পায় ৯ ফেব্রুয়ারি  ২০১৮ সালে ।মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এটা মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ ডাউনলোড করতে থাকে। বর্তমান সময়ে এই গেমস গুলো হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি অনলাইন গেমস।

যদি ইসলামিক দৃষ্টিতে কোন দিক থেকে তুলে ধরতে হয় অভস্যই ইসলামিক বিষয় এ ধারনা থাকতে হবে।ইসলাম এর অনুমতি নয় এমন কিছু কাজ। 

ইসলাম এর সবচেয়ে বড় পাপ সমূহ... 

১) শিরক:- ইসলাম এর সর্বোচ্চ পাপ ।  

২) মানুষ হত্যা:- ইসলাম এর দ্বীতিয় সর্বোচ্চ পাপ। 

৩) কুফর:- ইসলাম এর তৃতীয় সর্বোচ্চ পাপ।

ইসলাম এর যদি আরো কিছু নিষিদ্ধ কাজ ত্রর কথা বলি তাহলে..গান-বাজনা ইসলাম এর নিষিদ্ধ কাজ, বেপর্দা ইসলাম এর বড় একটি পাপ। কাটুন বা এনিমেশন ইসলাম এ অনুমধিত নয়।

শিরক হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে তুলনা করা। আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো উপাসনা করা। কোন কিছু দেওয়ার ক্ষমতা আছে এটা মনে করা। এসব গেমস গুলোতে অস্ত্রের জন্য প্রতিমার পূজা করতে হয়।যা সরাসরি শিরক করা।কেউ যদি শিরক করে ত্রবং তওবা না করে মৃত্যু বরন করে তাহলে তাকে  চিরকাল জাহান্নামের আগুন এ থাকতে হবে। অনত্র উল্লেখ আছে যে আল্লাহ তায়ালা যেকোন গুনাহ যে কাউকে ক্ষমা করে দিলেও শিরক ত্রর গুনাহ ক্ষমা করেন না । 

মানুষ হত্যা কতটা জগন্য কাজ এটা সবাই জানে।ইসলাম ধর্মের অনুযায়ী বিনা অপরাধে একজন মানুষকে হত্যা করা মানে ঘোটা মানব জাতিকে হত্যা করা।আর ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেমস গেমস এ চলে মানুষ হত্যার মিশন।যে যত বেশি মানুষ হত্যা করতে পারবে তার তত বেশি পয়েন্ট।

এছাড়াও ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেমস গেমস এ আছে,,, বেপর্দা , গান বাজনা ও কুফর।এতগুলো তথা ইসলাম এর সেরা সেরা পাপগুলো থাকার পরও একজন মুসলাম হিসেবে আমাদের কারো উচিৎ নয় ত্রসব গেমস খেলা । দুঃখ জনক হলেও সত্যি এটা যে বর্তমান এ প্রায় সকল গেমস এ কোন দেশকে আক্রমন করা, বেপর্দা ,গান-বাজনা,কুফর এর কোন না কোনটা রয়েছে।যেহতু এটা সরাসরি ইসলাম এর সাথে সাংঘর্ষিক । তাই এসব গেমস খেলা ইসলাম এ জায়েজ নাই। 

আমাদের অনেক এর ধারনা যে আমরা তো এগুলো বাস্তব এ করছি না। আমরা যা করছি তা অনলাইনে। তারদর কাছে প্রশ্ন আজ যদি আমি অনলাইন এ আল্লাহ ও নবী সঃ কি ছোট করে কথা  বলি তাহলে কি আমার পাপ হবে না।



Free fair ও pubg বা যেকোনো ভিডিও গেমস হউক না কেন। এগুলো আমাদের মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলে। যদি বলেন ফেলে না তাদের জন্য একটা জলন্ত উদাহরণ দিতে পারি। ব্লু ওয়েল বা নীল তিমি নামক গেমস খেলে কত মানুষ আত্মা হত্যা করেছে এটা কি শুনেননি। গেমস গুলো তাদের মানসিকতার উপর এতটা প্রভাব ফেলেছে যে তারা আত্মা হত্যা পযন্ত করেছে। তাহলে এটা প্রামানিত যে এসব গেমস আমাদের মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলে। 

গেমস খেলার মাধ্যমে মানুষ হিংসাত্মক, আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। যদি বাস্তবিক দিক বিবেচনা করি। এসব গেমস খেলে আমাদের সময়, অর্থ, স্বাস্থ্য সবকিছুর ক্ষতি হচ্ছে। সর্বোপরি আমাদের ভবিষ্যতে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। 

ফ্রী ফায়ার আর পাবজি গেমস এর ক্ষতি সমূহ ও ইসলাম এর দিক থেকে যদি তুলে ধরিঃ 

১) শিরক  ২) মানুষ হত্যা ৩) কুফর ৪) হারাম ৫) বেপর্দা ৬) সময় নষ্ট ৭) লেখাপড়া নষ্ট ৮) মানসিকতার বিকৃতি  ৯) কাটুক বা এনিমেশ এভাবে তুলে ধরলে আরো অনেক পাপ ও ক্ষতির কথা বলা যায়। 

যদি বল এত কিছু কেন করছেন ?  কি উওর হবে আপনার টাইম পাস.!! এন্টারটেইনমেন্ট..!!!,,,,,

টাইম পাস.!! এন্টারটেইনমেন্ট..!!! আপনার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে এতগুলো অপরাধ ও ক্ষতি হওয়ার পরেও সামান্য চিন্তাও করছেন না। একজন মুসলমান হিসেবে আপনার কখনো উচিৎ নয় এসব গেমস খেলা। 

আপনি যদি এই গেমস খেলে থাকেন এখন ই প্রতিজ্ঞা করেন যে আর খেলবেন না। এবং আপনার পরিচিতদের খেলার জন্য নিষেধ করবেন। যদি কোন ভুল বলে থাকি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। 

No comments:

Post a Comment

Featured Post

বিশ্বের টুকিটাকি জানা-অজানা সাধারণ জ্ঞান

#বিশ্বের #টুকিটাকি #জানা-অজানা #সাধারণ জ্ঞান প্ৰঃ আল্লাহ পাক কোন দিন কোন বস্তু সৃষ্টি করেছেন? উঃ (১) শনিবার মাটি সৃষ্টি করেছেন। জ্বীন ...