যারা একবারে ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে । এভাবে যত বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে তত শক্তিশালী হবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা।এভাবেই সুরক্ষা বলয় তৈরি হওয়ার মধ্যে দিয়ে দেশে এক সময় সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যায়। হার্ড ইমিউনিটি প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়া কোন দেশ বা অঞ্চলের অন্তত 80% মানুষকে আক্রান্ত হতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রায় 15 কোটি মানুষ আক্রান্ত হবে করোনা ভাইরাসে!
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় । একটি হলো সাপ্রেশন, অন্যটি কনটেইনমন্ট। সাপ্রেশন পদ্ধতিতে সবাইকে ঘরে আবদ্ধ করে এই রোগের মোকাবেলা করতে হবে। অন্যটি কনটেইনমেন্ট পদ্ধতিতে হার্ড ইমিউনিটির পথ অনুসরণ করে রোগ ছড়াতে দেওয়া হয়। যেমন মানবদেহে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সৃষ্টি হয়। চিন, জার্মানি, ইতালি,ফ্রান্স, ভিয়েতনাম প্রথম পদ্ধতি অনুসর্ণ করে সফল হয়েছেন ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ভিবাগের সাবেক পরিচালক ডা: বে-নজির আহমেদ বলেন, হার্ড ইমিউনিটি প্রয়োগ করার আগে ওই দেশের আর্থিক, প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত দিকগুুলো শক্তিশালী হতে হয়,যেন তারা কঠিন ওই পরিস্তিতির মোকাবেলা করতে পারে। আমাদের দেশের কথা ভিবেচনা করলে বলতে হয়, হার্ড ইমিউনিটি এখানে স্রেফ বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই প্রক্রিয়ায় দেশে যদি ১৫ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয় এবং তাদের মধ্যে যদি ০.০০১ ভাগ মানুষকেও চিকিৎসা দিতে হয় তাহলে সেটা বাংলাদেশের জন্য অসম্বব হয়ে পড়বে।
No comments:
Post a Comment