করোনাভাইরাস বাংলাদেশে যে ভাবে বুদ্ধি পাচ্ছে এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের কি করা উচি, - Bibaran

Latest

ইসলামিক পেইজ

Wednesday, April 8, 2020

করোনাভাইরাস বাংলাদেশে যে ভাবে বুদ্ধি পাচ্ছে এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের কি করা উচি,

প্রথমে আপনাদের একটা কথা বলে দেই, এই পোস্টটা সমর্পুণ্য পড়বেন। অনেক কিছু যানতে ও বুঝতে পারবেন যদি না পড়তে পাড়ে তাহে কিছু বুঝবেন না।


বাংলাদেশে যে ভাবে করোনা ভাইরাস বিদ্ধি পাচ্ছে এই ভাবে বাড়তে থাকলে, আমরা কি  করবো। আমরা সাধারণ জনগণ, আমাদের কিছুই করার নেই। এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করার মালিক আল্লাহ তাই আল্লাহকে ডাকতে হবে।   

তা  কিভাবে এ বার এ-ই মাসের ফজিলত  সম্পর্কে জানবো,  

এই মাসে নাম শাবান মাস এটি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ মাস  


সুতরাং মাসটির নামকরণ করা হয়েছে শাবান। জীবন ও জীবিকার জন্য আরবদের কাছে শাবান মাসটি যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ধর্মীয় দিক দিয়ে মুসলিম সমাজের কাছে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর অতীব গুরুত্বের কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবানকে নিজের মাস বলে অভিহিত করেছেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছে।

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রজব হলো আল্লাহর মাস। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর মাস রজবকে সম্মান করল, সে আল্লাহর বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আল্লাহর বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন। আর শাবান হলো আমার মাস। আর যে ব্যক্তি শাবান মাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল সে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, কিয়ামতের দিন আমি হব তার অগ্রবর্তী এবং নেকির ভাণ্ডর। আর রমজান মাস হলো আমার উম্মতের মাস। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৫৩২)

বস্তুত মাহে রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে শাবান মাসের ফজিলত অনেক বেশি এবং সে উদ্দেশ্যে শাবান মাসে মুমিন মুসলমানের জন্য বেশ কিছু করণীয় রয়েছে।

একটি বছরের দীর্ঘ পরিক্রমা অতিক্রম করে আসা মাহে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন ইবাদতকে গতিশীল করতে এবং স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে শাবান মাসে যে সমস্ত করণীয় রয়েছে সেগুলো হলো :-

(১) দিন গণনা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের (প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে) শাবানের দিনগুলো গণনা করতে থাকো। (মুসান্নেফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৩০৩, সুনানে তিরমিযি, হাদিস : ৬৭৮, আল-মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৮২৪২)।

(২) বেশি বেশি করে নফল রোজা রাখা : রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন। হজরত আয়েশা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি এবং আমি তাঁকে শাবান মাসের মতো এত অধিক নফল রোজা অন্য কোনো মাসে রাখতে দেখিনি। (সহিহ আল-বোখারি, হাদিস : ১৯৬৯, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৫৬, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৩৪, সুনানে তিরমিযি, হাদিস : ৭৩৬)।

(৩) নামাজ, রোজা, জিকির, তিলাওয়াতসহ বেশি বেশি নফল ইবাদত করা। যেন মাহে রমজানের আমলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয় এবং গতিশীলতা হারিয়ে না যায়।

(৪) স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ করে লক্ষ্য রাখা। যেন সুস্থ থেকে স্বাভাবিকভাবে গোটা মাহে রমজানের যাবতীয় আমল পালন করা যায়।

(৫) শাবান মাসের ১৫ তারিখের পরে আর বেশি নফল রোজা না রাখা। হজরত কাতাদাহ (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজান মাস ও শাবান মাসের মাঝে এক বা দুই দিনের ব্যবধান বজায় রাখো (রোজা রাখা বর্জন করে)। ( মুসান্নেফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৩১৬)।

(৬) নফল সাদাকাহ করা : শাবান মাসে বেশি বেশি দান-খায়রাত করা। যাতে সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মুসলমানরা প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহ করে মাহে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।

(৭) বেশি বেশি দোয়া করা : মহান আল্লাহর দরবারে রমজান মাসপ্রাপ্তির জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রজব মাস আরম্ভ হলেই রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, হে আল্লাহ। আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করো এবং রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের পোঁছে দাও। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৪৭, মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস : ৬৪৯৬, আল-মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৩৯৩৯)

No comments:

Post a Comment

Featured Post

বিশ্বের টুকিটাকি জানা-অজানা সাধারণ জ্ঞান

#বিশ্বের #টুকিটাকি #জানা-অজানা #সাধারণ জ্ঞান প্ৰঃ আল্লাহ পাক কোন দিন কোন বস্তু সৃষ্টি করেছেন? উঃ (১) শনিবার মাটি সৃষ্টি করেছেন। জ্বীন ...